সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তানকে ২০৩ রানে আটকে দিয়ে জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু মামুলি সেই স্কোর তাড়া করতে নেমে পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। দারুণ বোলিংয়ে পাকিস্তান আশা জাগালেও শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের দৃঢ়তায় ২ উইকেটের জয় নিয়ে স্বাগতিকরা মাঠ ছেড়েছে। তাতে তিন ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ১-০ তে এগিয়ে গেছে।
মেলবোর্নে ২০৪ রানের লক্ষ্যে দলের ২৮ রানে ম্যাথু শর্ট, জেক ম্যাকগার্ককে হারালেও স্টিভেন স্মিথ-জশ ইংলিসের ব্যাটে সহজেই পথ চলছিল অজি দল। দু’জনে মিলে ৮৫ রানের জুটি গড়েছিলেন। হারিস রউফ ৪৪ রান করা স্মিথকে ফেরাতেই পাল্টে যায় দৃশ্যপট। তার পর ইংলিসকে ৪৯ রানে ফেরান শাহীন আফ্রিদি। হারিস রউফ পর পর জোড়া আঘাতে লাবুশেন (১৬) ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে (০) সাজঘরে ফেরালে ১৩৯ রানে পড়ে অজিদের ষষ্ঠ উইকেট। তাতে ম্যাচ ঝুঁকে পড়ে পাকিস্তানের দিকে। দলের ১৫৫ রানে অ্যারন হার্ডি (১০) ও ১৮৫ রানে শন অ্যাবট (১৩) বিদায় নিলে জয়ের আশা জাগে পাকিস্তানের। শেষটা থ্রিলারে পরিণত হলেও তখন প্যাট কামিন্স একপ্রান্ত আগলে সফরকারীদের জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন। ৮ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া ৩৩.৩ ওভারে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। কামিন্স ৩১ বল খেলে ৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন মিচেল স্টার্ক (২)।
পাকিস্তানের হয়ে জয়ের আশা জাগানো হারিস রউফ ৬৭ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ৪৩ রানে দুটি নিয়েছেন শাহীন আফ্রিদি। একটি করে নিয়েছেন নাসিম শাহ ও মোহাম্মদ হাসনাইন।
২০২৩ সালের পর প্রথম ওয়ানডে খেলতে নামা পাকিস্তান টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই স্টার্কের তোপের মুখে পড়ে। ২৪ রানে হারায় দুই ওপেনার সাইম আইয়ুব (১) ও আব্দুল্লাহ শফিককে (১২)। তার পর অবশ্য ধাক্কা সামাল নেন বাবর আজম ও অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৩৯ রান যোগ করেন তারা। বাবরকে ৩৭ রানে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন জাম্পা। তার পর নামা কামরান গুলামের (৫) ইনিংস স্থায়ী ছিল মাত্র ৬ বল। সালমান আগাও (১২) দ্রুত ফিরলে বিপদ বাড়ে সফরকারীদের। অধিনায়ক রিজওয়ান সর্বোচ্চ ৪৪ রানে লাবুশেনের বলে ফিরলে ইনিংসের নিয়ন্ত্রণ তারা আর রাখতে পারেনি। ৪৬.৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে করতে পারে ২০৩ রান। ১৭৫ রানে আট উইকেট হারানো পাকিস্তানের স্কোর দুইশ ছাড়িয়েছে লেজের দিকে নাসিম শাহের ৪০ রানের ইনিংসের সুবাদে।
পাকিস্তানের হয়ে ৩৩ রানে তিনটি উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। ম্যাচসেরাও তিনি। ৩৯ রানে দুটি নেন প্যাট কামিন্স। ৬৪ রানে অ্যাডাম জাম্পাও দুটি উইকেট নিয়েছেন। একটি করে নিয়েছেন শন অ্যাবট ও মার্নাস লাবুশেন।