রাজনীতিতে নতুন ধারা সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করেছে। গত ৬ অক্টোবর রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত বিশেষ সভায় এ দলের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন দেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নায়ক ও রাজনীতিবিদ মো. মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা।
নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা
এদিন সভায় জানানো হয়, ইঞ্জিনিয়ার ইকরামুল খান (অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী) সংগঠনের আহ্বায়ক এবং আবুল কালাম আজাদ (সিএনএফ ব্যবসায়ী, চট্টগ্রাম) সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
নাম পরিবর্তনের ঘোষণা
প্রথমে দলটির নাম রাখা হয়েছিল বাংলাদেশ ইনসাফ পার্টি। তবে অনিবার্য কারণে এটি সংশোধন করে নতুন নাম রাখা হয় বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি। নাম নির্ধারণে সভায় ২০টিরও বেশি প্রস্তাব আসে। সর্বসম্মতিক্রমে নতুন নামটি চূড়ান্ত করা হয়।
নীতি-আদর্শ ও কর্মসূচি নির্ধারণ
সভায় দলটির নীতি, আদর্শ, লক্ষ্য এবং কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। অংশগ্রহণকারীরা তাদের মতামত তুলে ধরেন। সভাপতি সোহেল রানা জানান, দলটির গঠনতন্ত্র ও ইশতেহার এমনভাবে প্রণয়ন করা হবে, যা দেশ ও জনগণের কল্যাণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
অতিথি ও বক্তারা
এ জরুরি সভায় বিশেষ সমন্বয়কারী ইঞ্জিনিয়ার ইকরামুল খানের তত্ত্বাবধানে বক্তব্য দেন:
সাবেক মন্ত্রী এম নাজিমুদ্দিন আল আজাদ
সিনিয়র সাংবাদিক ও লেখক সৈয়দ তোশারফ আলী
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাবেক উপ-মহাপরিচালক ড. ফোরকান উদ্দিন আহমেদ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী
নৌবাহিনীর কমোডর (অব.) সানাউল নোমান
সাবেক রাষ্ট্রপতির উপ-প্রেস সচিব আবদুর রহিম মনোয়ারা তাহের মানু
কাজী শামসুল ইসলাম রঞ্জন, সাজিউল ইসলাম রকি, সারোয়ার হোসেন প্রমুখ।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
সভায় অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের জন্য একটি কার্যকর ও সুসংগঠিত রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার বিষয়ে গুরুত্ব দেন। সভাপতির নেতৃত্বে দলটি দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টির নতুন নেতৃত্ব ও সংগঠনগত কাঠামো অদূর ভবিষ্যতে রাজনীতিতে একটি নতুন উদাহরণ স্থাপন করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।