দেখার অপেক্ষায় ছিলাম, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কীভাবে তাঁর অভিনন্দন জ্ঞাপন করা হয়?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় হয়েছে। দেখার অপেক্ষায় ছিলাম, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কীভাবে তাঁর অভিনন্দন জ্ঞাপন করা হয়? বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরোধীরা বলার চেষ্টা করছিল যে, ট্রাম্প জিতলে সরকার অসুবিধায় পড়বে। তবে আমার এটা বিশ্বাস হচ্ছিল না। তবে সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন বার্তা দেখে মনে হয়েছে, সরকার একটু ভয় পেয়েছে। কেননা, অভিনন্দন বার্তায় অযাচিত কিছু বাক্যের সংযোজন করা হয়েছে যেগুলো অপ্রয়োজনীয়। যেমন- এখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০১৬ সাল থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাম্পের একজন গুপ্ত ভক্ত এবং তাদের মধ্যে একটা উষ্ণ সম্পর্কের কথা। একটা অফিসিয়াল বার্তায় এ ধরনের ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা তুলে আনে নিম্ন রুচির ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ও স্থূল মাথার মানুষেরা। যার দ্বারা দেশের মানুষকে বোকা বানানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে এবং দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে যে, ট্রাম্প ও ইউনূসের মধ্যে সম্পর্ক অনেক গভীর।

আসলে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এসব আলাপের কোনো খানা নাই এবং খয়রাতিরা তার থেকে উচ্চ পদের কাউকে এভাবে পটাতে চায়। ট্রাম্প সম্পর্কে ড. ইউনূসের মনোভাব আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। বোঝা যাচ্ছে, অভিনন্দন বার্তাটি সেটাকে মাথায় রেখে প্রস্তুত করা হয়েছে। যা খুবই দৃষ্টিকটু। ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে ট্রাম্প সম্পর্কে ড. মুহাম্মদ ইউনূস কী বলেছেন, তা এখন গুরুত্বপূর্ণ না। সেটাকে পাশে রেখেই সরকার প্রধান হিসেবে কৌশলগত দিক বিবেচনা করে অভিনন্দন বার্তাটি প্রস্তুত করা প্রয়োজন ছিল। অথচ অভিনন্দন বার্তায় অভিনন্দনের পাশাপাশি দুদেশের সম্পর্ক আরও কীভাবে গভীর ও অংশীদারিত্বমূলক করা যায় সে বিষয়ে একটা সৃজনশীল প্রস্তাব থাকতে পারত। সেদিকে না গিয়ে ব্যক্তিগত সম্পর্কের দিক উন্মোচনের প্রয়াস হীনমন্যতার পরিচায়ক। যা নতজানু পররাষ্ট্রনীতির দিকে নির্দেশ করে।

লেখকঃ অভাজন

সম্পর্কিত নিউজ

আরও পড়ুন