ছয় দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী মেডিক্যাল টেকনোলজি ও ফার্মেসি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১১টায় মহাখালী টিবি গেটের স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় প্রথমে তারা গুলশান লিংক রোডে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। পরে সড়ক ছেড়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মূল ফটকে অবস্থান নেন।
আন্দোলনকারীরা জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী একজন চিকিৎসকের বিপরীতে তিন জন নার্স ও পাঁচ জন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট থাকা প্রয়োজন। অথচ দীর্ঘ ১৪ বছরেরও বেশি সময় প্রশাসনিক জটিলতায় মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে সরকারি চাকরিতে কর্মরত মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের সংখ্যা মাত্র ৪ হাজার ১০৬ জন এবং মোট পদের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৯৭৫টি।
দীর্ঘ বৈষম্যের কথা জানিয়ে আন্দোলনকারীরা বলেন, দীর্ঘদিন নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় টেকনোলজিস্টদের একটি বড় অংশের সরকারি চাকরিতে আবেদন বয়সসীমা পার হয়ে গেছে। নিজস্ব কোনও দফতর না থাকায় দক্ষ অথচ বেকার জনগোষ্ঠী এক প্রকার হতাশাগ্রস্ত জীবনযাপন করছে।
এ সময় ছয় দফা দাবি জানান আন্দেলনকারীরা। দাবিগুলোর মধ্যে আছে– স্বতন্ত্র পরিদফতর গঠন করতে হবে; ডিপ্লোমাধারীদের দশম গ্রেড (দ্বিতীয় শ্রেণীর গেজেটেড) পদমর্যাদা দিতে ডাব্লিউএইচওর আনুপাতিক হারে পদ সৃষ্টি করে দ্রুত নিয়োগ ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২০১৩ সালের স্থগিত করা নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করতে হবে; গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের নবম গ্রেডের পদ সৃষ্টি করে চাকরিজীবীদের আনুপাতিক হারে পদোন্নতির নিয়ম বহাল রেখে স্ট্যান্ডার্ড সেট আপ ও নিয়োগবিধি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; ঢাকা আইএইচটিকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর করে একটা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব আইএইচটিতে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট এবং ফার্মাসিস্ট শিক্ষকদের স্বতন্ত্র ক্যারিয়ার প্লান গঠন করে বিদ্যমান নিয়োগ বিধি ও অসঙ্গতিপূর্ণ গ্রেড সংশোধন করতে হবে; মেডিক্যাল টেকনোলজি কাউন্সিল ও ডিপ্লোমা মেডিক্যাল এডুকেশন বোর্ড গঠন ও প্রাইভেট সার্ভিস নীতিমালা তৈরি হবে; বি ফার্মসহ সব অনুষদের বিএসসি ও এমএসসি কোর্স চালু করা এবং স্কলারশিপসহ প্রশিক্ষণ ভাতা চালু করতে হবে।