শীতের শুরুতেই দেশের উত্তরের জনপদগুলোতে শীতের আমেজ বাড়তে শুরু করেছে। হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা হাওয়া পঞ্চগড়সহ উত্তরাঞ্চলে বাড়াচ্ছে শীতের তীব্রতা। বুধবার (২০ নভেম্বর) ভোর ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, “তাপমাত্রা ক্রমশ কমছে। আজ ভোরে কুয়াশা দেখা গেছে, যা শীতের উপস্থিতি আরও স্পষ্ট করে তুলেছে।”
উত্তরের শীতল হাওয়া:
উত্তরাঞ্চলের অন্যতম জেলা পঞ্চগড়, যা বরফাবৃত হিমালয় ও কাঞ্চনজঙ্ঘার নিকটবর্তী, বরাবরের মতো এবারও শীতের আগমনী বার্তা পেয়েছে সবার আগে। স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। শীতের কাপড় এবং কম্বল-কাঁথার প্রয়োজনীয়তা বেড়ে গেছে।
ভোরে হালকা কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্যের আলো ছড়ালেও শীতের পরশ বেশ গভীর। দিনে কিছুটা গরম থাকলেও সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত শীত অনুভূত হচ্ছে।
শীতের প্রভাব ও স্বাস্থ্যঝুঁকি:
শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিচ্ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্ক রোগীরা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসছেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন এবং শিশু ও বয়স্কদের জন্য বিশেষ যত্ন নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
গ্রামীণ জনজীবন ও শীতের অনুভূতি:
অগ্রহায়ণ মাসের শুরুতেই শীতের ছোঁয়া পেয়ে উত্তরের শ্রমজীবী মানুষ ভোর থেকেই কাজে নেমে পড়ছেন। কৃষক, দিনমজুর ও গৃহস্থালির কাজে ব্যস্ত মানুষজনকে ঠান্ডা উপেক্ষা করেই দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, “ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে। তবে এখন দিনের বেলায় গরম থাকলেও রাতের ঠান্ডা বেশ অনুভূত হচ্ছে।”
এমন আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এবং রোগবালাই প্রতিরোধে স্থানীয়দের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন চিকিৎসক ও আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।