মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হলে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কঠিন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী সাজিদ তারার। তিনি জানান, ট্রাম্প বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এশিয়ান লাইট ইন্টারন্যাশনাল পিটিআইয়ের বরাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
সাজিদ তারার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অভাবনীয় প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। এতে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও গভীর হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়েও বিশেষ নজর থাকবে ট্রাম্পের।
তিনি আরও জানান, দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতি সম্পর্কে ট্রাম্প সচেতন এবং এর মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরাসরি হিলারি ক্লিনটনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে ইউনূস যুক্তরাষ্ট্র সফরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সাজিদ তারার বলেন, “ড. ইউনূস অতীতে হিলারি ক্লিনটনকে সমর্থন করেছিলেন। এটি ট্রাম্পের মনে রয়ে গেছে। তাই ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের প্রতি কড়া অবস্থান নিতে পারে।”
এর আগে, গত ৫ নভেম্বরের মার্কিন নির্বাচনের ঠিক আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রায় ৮ শতাংশ সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় নিয়মিতভাবে মন্দির ধ্বংস ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের শিকার হচ্ছে।
সাজিদ তারারের মতে, ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সম্ভবত কঠোর বার্তা দেবে। তিনি আরও বলেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফিরে আসা যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের জন্য ইতিবাচক। ভারত ছাড়া বাকি বিশ্ব এখন অস্বস্তিতে রয়েছে। কিন্তু বিশ্ব একজন শক্তিশালী নেতা পেয়েছে।”