সাভার, আশুলিয়া ও জিরানি এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষের কারণে আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ১২টি পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
শ্রম আইন অনুযায়ী কারখানা বন্ধ
বিজিএমইএ জানায়, শ্রম আইন ১৩-এর ১ ধারা অনুযায়ী এই কারখানাগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে গাজীপুরের কাশিমপুর ও জিরানি এলাকায় শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ডরিন গার্মেন্টসের তিনটি কারখানা বন্ধ রয়েছে।
বেতন পরিশোধের অগ্রগতি
বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী:
বিজিএমইএর তালিকাভুক্ত ২,০৯৩টি কারখানা বর্তমানে উৎপাদন কার্যক্রম চালু রেখেছে।
৯৫ শতাংশের বেশি কারখানা অক্টোবর মাসের বেতন ইতোমধ্যেই পরিশোধ করেছে।
আটটি কারখানার শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখে স্ব বেতনে ছুটিতে রয়েছেন।
শ্রমিক অসন্তোষের কারণ
বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বেতন-ভাতা ও কাজের পরিবেশ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। গাজীপুর ও আশপাশের এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা এবং শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া মেনে নিতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে।
বর্তমান অবস্থা
সাভার, আশুলিয়া ও জিরানি এলাকার শ্রমিক অসন্তোষের ফলে বন্ধ থাকা কারখানাগুলোর দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। তবে শ্রমিকদের দাবি পূরণের বিষয়টি নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতি সামাল দিতে মালিকপক্ষ, শ্রমিক ও প্রশাসনের মধ্যে কার্যকর সমন্বয় প্রয়োজন।