যে মহিলাকে পচা স্বৈরাচারী ভেবে আমরা দিনের পর দিন গালি দিয়েছি, সে ছিল বড়জোর একজন নিয়মতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদী। কখনো আবার, ইস্ট এশিয়া মডেলে একজন উন্নয়ন-একনায়ক।
আর যাদের বিজয়কে আমরা স্থূলভাবে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ বলেছিলাম, নতুন যুগের ‘মুক্তিযোদ্ধা’ উপাধি দিয়েছিলাম যাদেরকে, এখন দেখছি তারাই আসলে গণতন্ত্রীর ছদ্মবেশে একদল ‘মিটিক্যুলাস’ ফ্যাসিস্ট।
যে লোকটিকে নম্র-ভদ্র, মহৎ, পরোপকারী ঠাউরে সবাই ধন্য ধন্য দিয়েছে। ‘দার্শনিক রাজা’ হবেন মনে করে
যাকে বৃদ্ধ বয়সে দেশের দায়িত্বে বসিয়েছে,সেই মানুষেরই গলার সোনার মেডেল ক্রমশ গোল থেকে ডিম্বাকৃতির হয়ে
জাতির দুর্ভাগা পায়ুপথে ঢুকেই চলেছে।
আমরা মূলত যে ডিমটাকে ময়ূরীর ভেবে তা দিয়েছি, তার ছা আদতে নির্জলা রাসেল ভাইপারের মতো ‘ফোঁসফাঁস, ঢুসঢাস’ করা শুরু করেছে।
“ঐ দেখো সুঁই-এর পাছায় একটা ফুটো” বলে বলে চেঁচিয়ে
আমাদের বিভ্রান্ত দৃষ্টি ‘রিসেট’ করে, মাঝখান দিয়ে
ঝাঁঝরা নিতম্বের মোনাফেক চালুনি আমাদের ঘরে ঢুকে গেছে।
আমাদের জয়বাংলা ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ হয়ে গেছে।
আমাদের গণভবন ‘জাদুঘর’ হয়ে গেছে। আমাদের ৩২ নাম্বার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমাদের বঙ্গবন্ধু ‘দেবদাস চক্রবর্তী’ হয়ে গেছেন।বআমাদের মুক্তিযুদ্ধ আর সংবিধান ‘মুজিববাদী’ হয়ে গেছে। আমাদের ১৫ই আগস্ট ‘ডিজে পার্টির লুঙ্গি ড্যান্স’ হয়ে গেছে। আমাদের বাউল গান ‘কাওয়ালি’ হয়ে গেছে। আমাদের টিএসসি ‘গাবতলির গরুর হাট’ হয়ে গেছে। আমাদের ‘মেধাবীরা’ রাজাকার হয়ে গেছে।
আর খুনি ডালিম ‘হিরো ডালিম’ হয়ে গেছে। আমাদের বাংলাদেশ ‘বাংলাস্তান’ হয়ে গেছে।
আসলেই, আমরা বুঝতে পারিনি আমাদের সর্বনাশ হয়ে গেছে।