২০২৫ সাল থেকে নিষিদ্ধ হচ্ছে সিঙ্গেল ব্যান্ড রাউটারঃ বিটিআরসি

দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। একটি বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে সিঙ্গেল ব্যান্ড ওয়াই-ফাই রাউটার আমদানি, উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা হবে। ব্যবহারকারীদের ডুয়াল বা ট্রাই-ব্যান্ড সাপোর্ট করা রাউটার ব্যবহারে উৎসাহিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নতুন নীতিমালা ও কার্যক্রম

বিটিআরসি জানিয়েছে, আগামী বছর থেকে বাংলাদেশে শুধুমাত্র ডুয়াল বা ট্রাই-ব্যান্ড সাপোর্ট করে এমন রাউটার আমদানি ও উৎপাদন করা যাবে। যেসব রাউটার ২.৪-২.৪৮৩ গিগাহার্জ এবং ৫.৭২৫-৫.৮৭৫ গিগাহার্জ উভয় ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড সাপোর্ট করবে, কেবল সেগুলোই বাজারে পাওয়া যাবে। সিঙ্গেল ব্যান্ড সাপোর্ট করা কোনো রাউটার আর আমদানি বা বিক্রি করা যাবে না।

উদ্দেশ্য ও সুবিধা

এই সিদ্ধান্তের লক্ষ্য হলো দেশে ইন্টারনেট সেবার মানোন্নয়ন এবং দ্রুতগতির ডেটা ট্রান্সফারের সুবিধা নিশ্চিত করা। সিঙ্গেল ব্যান্ড রাউটারগুলো তুলনামূলকভাবে কম কার্যক্ষম এবং নিম্নমানের হওয়ায় উচ্চমানের ইন্টারনেট সেবার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল।

নতুন নিয়ম কার্যকর হলে

  • নিম্নমানের এবং সিঙ্গেল ব্যান্ডের রাউটার আমদানি ও উৎপাদন বন্ধ হবে।
  • ইন্টারনেট সেবায় উন্নত মান নিশ্চিত হবে।
  • উচ্চ গতির ডেটা ট্রান্সফারের জন্য ডুয়াল ও ট্রাই-ব্যান্ড প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়বে।

ব্যবহারকারীদের প্রস্তুতি

বিটিআরসি’র নির্দেশনা অনুযায়ী, বর্তমান সিঙ্গেল ব্যান্ড রাউটার ব্যবহারকারীদের ২০২৫ সালের মধ্যে নতুন ডুয়াল বা ট্রাই-ব্যান্ড রাউটারে আপগ্রেড করতে হবে। এই পরিবর্তনের ফলে ওয়াই-ফাই সংযোগে আরও স্থিতিশীল এবং দ্রুত ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাবে।

প্রেক্ষাপট

বিভিন্ন দেশে উচ্চমানের ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে সিঙ্গেল ব্যান্ড রাউটার ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশও এ পরিবর্তনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এই উদ্যোগ দেশের ইন্টারনেট সেবার বৈশ্বিক মানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কার্যকরতার তারিখ

২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে এই নীতিমালা কার্যকর হবে। এই সময়সীমার মধ্যে রাউটার উৎপাদনকারী ও আমদানিকারকদের নতুন নিয়ম মেনে চলতে প্রস্তুতি নিতে হবে।

বিটিআরসি’র এই সিদ্ধান্ত ইন্টারনেট ব্যবহারে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। উন্নত প্রযুক্তির রাউটার ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশ ডিজিটাল সংযোগে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।

 

সম্পর্কিত নিউজ

আরও পড়ুন