সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ছয় হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার বিষয়ে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানিয়েছেন, আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ
সম্প্রতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য উত্তীর্ণদের মধ্যে ছয় হাজার ৫৩১ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। তবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক প্রার্থী আদালতে মামলা করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আপাতত নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন।
মন্ত্রণালয়ের অবস্থান
হাইকোর্টের এই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন,
> “আমরা হাইকোর্টের রায়কে সম্মান করি। তবে, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে আমাদের অবস্থান সুস্পষ্ট। তাই আমরা আপিলের মাধ্যমে আইনি সমাধান খুঁজবো।”
উত্তীর্ণ প্রার্থীদের হতাশা
হাইকোর্টের আদেশে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। তাদের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়োগের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এক প্রার্থী বলেন,
“নিয়োগ স্থগিত হওয়ার খবর শুনে আমরা হতাশ। আমাদের জীবন এবং ক্যারিয়ার নিয়ে এই অনিশ্চয়তা দূর করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।”
মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ
মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ নিয়ে আপিলের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নথি এবং তথ্য সংগ্রহের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
অপেক্ষা সমাধানের পথ
মন্ত্রণালয়ের এই আপিলের সিদ্ধান্ত প্রার্থীদের জন্য আশার আলো হয়ে এসেছে। দ্রুত আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হলে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা তাদের চাকরিতে যোগদানের সুযোগ পাবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।